ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

নোয়াখালীতে কাদের সাম্রাজ্য-২

বন্যার পানি আটকে থাকার নেপথ্যে দখল, ৩২৪ কোটি টাকা পানিতে

দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১১:১৪:৪১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১১:১৪:৪১ পূর্বাহ্ন
বন্যার পানি আটকে থাকার নেপথ্যে দখল, ৩২৪ কোটি টাকা পানিতে
চীনের দুঃখ ছিল হোয়াংহো নদী, নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল। চীনের দুঃখ নেই, নোয়াখালীর দুঃখও থাকবে না।’ নোয়াখালী খাল ও জেলার ২৩টি খালের পুনঃখননসহ ১৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পের ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নোয়াখালীর দুঃখ ঘোচেনি। সম্প্রতি বন্যার পানি আটকে নোয়াখালীতে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়।

নদীবেষ্টিত এ জেলা তলিয়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি প্রকল্পে ভয়াবহ কারসাজি ও দখলের চিত্র। নিজেদের দখল ঠিক রাখতে মন্ত্রীর পরিবার পাল্টে দিয়েছে নোয়াখালী খালের গতিপথ। নোয়াখালী খালকে আলগির খালে নামিয়ে দিতে গিয়ে এলাকায় তৈরি করেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরিবেশ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালী খালের ৯ কিলোমিটার সাবেক এমপি ওবায়দুল কাদেরের পরিবার ও রাজনৈতিক কর্মীদের দখলে। যার কারণে মেঘনা নদীতে যাওয়ার আগেই নোয়াখালী খাল বিলীন হয়ে গেছে। নামছে না পানি। ২০১৯ সালে নোয়াখালী খাল সংস্কারে নেওয়া ৩২৪ কোটি টাকার প্রকল্পও ভেস্তে গেছে।

বিভিন্ন সময় খালের জায়গা দখলমুক্ত করলেও প্রভাবশালীরা ফের দখলে নেয়। নোয়াখালী খাল দিয়ে কিন্তু সব পানি মেঘনা নদীতে যাওয়ার কথা। কিন্তু যাচ্ছে না। ২০১৯ সালে নোয়াখালী খাল খনন করা হয়েছিল। সে সময়েও কিছু বাধার কারণে পুরোপুরি খনন করা যায়নি।- নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান

নিজেদের দখল বৈধ রাখতে আলগির খালের দিকে পানি দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন চক্রের। যে কারণে আলগির খাল খননও করা হয়। কিন্তু বন্যার সময় আলগির খালের সামনের বাঁধ কাটতে দেয়নি স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদল গেলেও তাদের ওপর আক্রমণ করে জনতা। তুমুল বেগে পানি প্রবাহের কয়েকদিন ওই বাঁধের ওপর লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেন স্থানীয়রা। পরে যোগাযোগের সড়ক কেটে কিছু পানি সরিয়ে দিতে পারলেও পানিবন্দি নোয়াখালীবাসীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। জেলা শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলার বড় অংশ এখনো পানির নিচে।

খাল ও নদী দখলে মন্ত্রীর পরিবার
কবিরহাট থেকে কোম্পানীগঞ্জ চরকলমির পুরো এলাকায় এখন দখলের রাজত্ব। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয়স্বজন এবং তাদের কর্মীরা নদী-খাল সবই দখল করে নিয়েছে। সম্প্রতি এলাকাটি ঘুরে একটি জায়গায় নোয়াখালী খালের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেটির মুখে বাঁধ দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মূল খালের অগ্রভাগ দখলে নিয়ে মাছের খামার গড়েছেন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল খান ওরফে কামাল কোম্পানি। তার দখলে ১৭শ একর জমি। নদীর ধারে, খালের পাড়ে বা জেগে ওঠা চরে ভূমিহীনরা বসবাস করলেও তাদের জোরপূর্বক তুলে দিয়েছেন কামাল কোম্পানি। এমনকি দখল কিনে বসবাসরতদেরও পিটিয়ে বা ভয় দেখিয়ে তুলে দিয়েছেন তিনি। এসব জমি মাছ চাষের জন্য ৩০০ কোটি টাকায় লিজ দিয়েছেন মিরসরাইয়ের কয়েকটি কোম্পানিকে।

বন্যার পানি আটকে থাকার নেপথ্যে দখল, ৩২৪ কোটি টাকা পানিতে

চর এলাহীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক উড়িরচর ও চর এলাহীতে কয়েক হাজার একর জমি দখলে নিয়েছেন। একইভাবে নদী ও খালের জায়গা দখলে নিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রুমেল চৌধুরী ও ধানশালিক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিনও।

ওবায়দুল কাদেরের প্রভাব খাটিয়ে তার ভাই ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা কাদের ৮৫০ একর, ছোট ভাই শাহাদাত ৭০০ একর, ভাগনে রাহাত ৪৫০ একর, আরেক ভাগনে ইস্কান্দর মির্জা শামীম ৩০০ একর নদী ও খালের জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন। সেখানে গড়ে তুলেছেন খামার। এগুলো মির্জানগর, শাহাদাতনগর, রাহাতনগর ও শামীমনগর নামে চেনেন স্থানীয়রা।

কামাল কোম্পানির মাছের খামার এলাকার স্থানীয় কামাল হোসেন নামে একজন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখানে বিশাল নদী ছিল। ইলিশ মাছ ধরা হতো। পুরো নদীটা তারা বাঁধ দিয়েছে। যার কারণে উত্তরের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি থাকে। মানুষের ফসল নষ্ট হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের দাবি, আমরা নোয়াখালী খাল ও নদী দখলমুক্ত চাই।’


তিনি বলেন, ‘এখানে একদিন জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড, তহশিলদারসহ সব অফিসার আসেন। ওপরের ফোন পেয়ে তারা চলে গেছেন। নদী বাঁধ দেওয়ার চিত্র তারা দেখেননি।’

সেরাজুল হক বাবু বলেন, ‘আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে তার আরও উত্তরে নোয়াখালী খাল। সেটির মুখে রোমেল চৌধুরীসহ অনেকের প্রজেক্ট আছে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে সেটি মূলত নদী। এখানে চর জেগে উঠেছিল, এই চরে কিছু লোক বসবাস করতো। এই নদীটা রাজ্জাক চেয়ারম্যান, কামাল কোম্পানি দখলে নিয়েছে। মোজা মেম্বার, দেলোয়ার, নুর আলম মাঝিদের সহায়তা স্থানীয় বসবাসকারীদের জোর করে তুলে দিয়েছে। এখন এখানে বিশাল মাছের প্রজেক্ট করেছে। আমরা এই নদী ও খাল পূর্বের অবস্থায় ফেরত চাই।’

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এখন নতুন দখলদারদের চোখ পড়েছে ওই সব প্রজেক্টে। হাত বদলে বা ভাগ দিয়ে দখল অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ।


কাজে আসেনি খাল সংস্কারে ৩২৪ কোটি টাকার প্রকল্প
২০১৯ সালে ৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখননসহ ১৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে ছিল জেলার বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার খাল। এছাড়া প্রকল্পের মধ্যে আরও ছিল ১৮২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনি নদীতে ড্রেজিংসহ দুটি স্লুইস গেট নির্মাণ, লবণাক্ত পানি প্রবেশ রোধে বামনি ১৯-ভেল্ট রেগুলেটর নির্মাণ, বামনি নদীর ওপর ক্লোজার নির্মাণ, সন্দ্বীপ চ্যানেল, মুছাপুর, গুচ্ছগ্রাম, চর কচ্ছপিয়া, চর ল্যাংটা ও চর এলাহী এলাকার ১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ।

বলা হয়েছিল, প্রকল্প শেষ হলে জেলার প্রধান প্রধান খালে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সন্দ্বীপ চ্যানেলের বামতীর ভাঙন রোধ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আবাদি জমি, ফসলাদি ও জানমাল রক্ষা পাবে।

বন্যার পানি আটকে থাকার নেপথ্যে দখল, ৩২৪ কোটি টাকা পানিতে

কিন্তু ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী ঘুরে নেতিবাচক চিত্রই দেখা যায়। খালগুলো দিয়ে পানি সরছে না। রেগুলেটর পানিতে তলিয়ে গেছে। খালের বেশিরভাগই দখল-দূষণে পানি প্রবাহের উপযুক্ত নয়। স্থানীয়রা বলছেন, দখলমুক্ত করা গেলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থাকবে। এমনিতেই নদীতে চলে যাবে পানি। কিন্তু এই দখল দূষণের ফলে এখন জলাবদ্ধ চারদিক।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় খালের জায়গা দখলমুক্ত করলেও প্রভাবশালীরা ফের দখলে নেয়। নোয়াখালী খাল দিয়ে কিন্তু সব পানি মেঘনা নদীতে যাওয়ার কথা। কিন্তু যাচ্ছে না। ২০১৯ সালে নোয়াখালী খাল খনন করা হয়েছিল। সে সময়েও কিছু বাধার কারণে পুরোপুরি খনন করা যায়নি। এসব বাধা মুক্ত করা না গেলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া সংগঠন থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ ফোরাম’ নামের একটি সংগঠনের প্যাড ছাপিয়ে এ চিঠি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিমটেক্সের সচিব সাইখ বিন আবেদীন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ ফোরাম’ নামের অস্তিত্বহীন সংগঠনের প্যাড ছাপিয়ে যে ঠিকানা উল্লেখ করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সরেজমিনে সংগঠনের কোনো চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্যাডে ১০ ডিজিটের ভুয়া ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।

সাইখ বিন আবেদীন বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে যেসব সংগঠন আছে, সেখানে ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ ফোরাম’ নামের কোনো সংগঠনের কথা কখনো শুনিনি। কিন্তু হুট করে গত ২৮ আগস্ট এই অস্তিত্বহীন সংগঠনটি মনগড়া দাবি তুলে বিএসইসিতে সিমটেক্সের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানে বিএসইসিতে দাখিল করা অভিযোগের প্যাডে উল্লিখিত সংগঠনের মতিঝিল এলাকার ঠিকানায় সরেজমিনে গিয়ে অফিস খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং ওই ঠিকানার বিষয়েও কেউ বলতে পারেননি। এছাড়া দুটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা হলেও একটি ১০ ডিজিটের। আরেকটি নম্বরে ফোন গেলেও কেউ ধরছেন না।


সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের সচিব বলেন, কুচক্রীমহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওই অস্তিত্বহীন সংগঠনটি ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান বিএসইসিতে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন। আর্থিক অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সিমটেক্স থেকে বিতাড়িত সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আগেও বিভিন্ন সময় সিমটেক্সের ক্ষতি ও সুনাম নষ্টের চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে তিনি (আনিসুর রহমান) রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বিএসইসিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সিমটেক্সের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে তার মনোনীত ব্যক্তিদের মাধ্যমে কোম্পানি দখলের অপচেষ্টা করেন। যদিও পরবর্তীসময় আদালত ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শুনানি শেষে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত না হওয়ায় সিমটেক্সের পরিচালনা পর্যদ বজায় রাখা হয়।

সাইখ বিন আবেদীন বলেন, বিএসইসিকে দেওয়া চিঠিতে পি কে হালদারের সঙ্গে সিমটেক্সের উদ্যোক্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়। অথচ ছিদ্দিকুর রহমান কোনোভাবেই প্রশান্ত কুমার হালদারের সহযোগী নন। এ নিয়ে দুদক কর্তৃক মামলার সমস্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে পি কে হালদারের সঙ্গে ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার কোনো সুস্পষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় ওই মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


এছাড়া বিএসইসিতে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে দাখিল করা অভিযোগে কিছু কোম্পানির সঙ্গে সিমটেক্সের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাস্তবে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সিমটেক্সের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ আলাদা ও পৃথক সত্তা। এছাড়া ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও আলাদা। সব নিয়ম পরিপালন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এক্সেল ফার্মগানিক লিমিটেড ও আর্কটারাস লিমিটেডের মনোনীত পরিচালক সিমটেক্সের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত আছে। অথচ বিএসইসিতে দেওয়া অভিযোগে সব প্রতিষ্ঠানকে এককরে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ছিদ্দিকুর রহমান এবং নিয়াজ রহমান সাকিব কখনো আর্কটারাস লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট- বলে দাবি করেন সিমটেক্সের সচিব।

তিনি বলেন, ভুয়া সংগঠনটির পক্ষ থেকে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে বিএসইসিতে অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ তারা কখনো কোনো দাবি নিয়ে সিমটেক্সে আসেননি। কোনো ব্যক্তি বা পরিচালকের সঙ্গেও কথা বলেননি। ভুয়া সংগঠনটি মনগড়া বক্তব্য দিয়ে কোম্পানির সুনাম এবং ব্যবসায়িক ক্ষতি করতে বিএসইসিতে চিঠি দিয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ